জ্যোতির্বিজ্ঞানীরা একটি রহস্যময় ধূমকেতু পর্যবেক্ষণ করেছেন, যা সৌরজগতের মধ্য দিয়ে পৃথিবী ও সূর্যের দিকে দ্রুত এগিয়ে আসছে। অচেনা এই ধূমকেতুকে হাল আমলের আলোচিত আন্তঃনাক্ষত্রিক বস্তু ৩আই বা অ্যাটলাসের সঙ্গে তুলনা করা হচ্ছে। নতুন এই ধূমকেতুর সামান্য কিছু সাদৃশ্য অ্যাটলাসের সঙ্গে দেখা যাচ্ছে।

তবে বিশেষজ্ঞরা এই দাবি অস্বীকার করে বলেছেন, এটি আন্তঃনাক্ষত্রিক স্থান থেকে না এসে, সম্ভবত আমাদের সৌরজগতের মধ্যেই উৎপন্ন হয়েছে। এনডিটিভি।

জ্যোতির্বিজ্ঞানীরা একটি রহস্যময় ধূমকেতু পর্যবেক্ষণ করেছেন, যা সৌরজগতের ভেতর দিয়ে পৃথিবী ও সূর্যের দিকে দ্রুতগতিসম্পন্ন পথে এগিয়ে আসছে। এ ধূমকেতুটিকে অনেকেই তুলনা করছেন বিখ্যাত আন্তঃনাক্ষত্রিক বস্তু ৩আই/অ্যাটলাসের সঙ্গে। নতুন এ ধূমকেতুটির আনুষ্ঠানিক নাম সি/২০২৫ ভি১ (বরিসভ)। এটি প্রথম দেখেন ক্রিমিয়ার জ্যোতির্বিদ গেন্নাদি বরিসভ।

ধূমকেতুটি ১১ নভেম্বর পৃথিবীর সবচেয়ে কাছাকাছি আসার কথা থাকলেও ১৬ নভেম্বর এটি সূর্যের সবচেয়ে কাছাকাছি বিন্দুতে পৌঁছবে। তবে বিশেষজ্ঞরা নিশ্চিত করেছেন, এটি ৩আই/এটলাসের মতো আন্তঃনাক্ষত্রিক কোনো বস্তু নয়, বরং সম্ভবত আমাদের সৌরজগতেরই বাসিন্দা।

ইউক্রেনের ক্রিমিয়ার শৌখিন জ্যোতির্বিজ্ঞানী গেন্নাদি বরিসভ আন্তঃনাক্ষত্রিক ধূমকেতু আবিষ্কারের জন্য সুপরিচিত। ২০১৯ সালে প্রথম আন্তঃনাক্ষত্রিক বস্তু ২আই/বরিসভ খুঁজে পান তিনি। হার্ভার্ডের জ্যোতিপদার্থবিজ্ঞানী অ্যাভি লোয়েব এ ধূমকেতুটিকে প্রায় আন্তঃনাক্ষত্রিক বলে অভিহিত করেছেন।

তিনি বলেন, ধূমকেতুটির পথ সমতলের তুলনায় প্রায় ১১৩ ডিগ্রিতে অত্যন্ত ঝুঁকে আছে। এটি সাধারণ ধূমকেতুর চেয়ে আলাদা, এর গতিপথ আন্তঃনাক্ষত্রিক বস্তু ৩আই/অ্যাটলাসের কক্ষপথের সঙ্গে প্রায় লম্ব। এটিতে সাধারণত দৃশ্যমান লেজ দেখা যাচ্ছে না।

ভয়ের কোনো কারণ নেই। ধূমকেতুটি পৃথিবী থেকে প্রায় ১০৩ মিলিয়ন কিলোমিটার দূরত্ব বজায় রেখে পার হয়ে গেছে, যা চাঁদের থেকে প্রায় ২৭০ গুণ বেশি দূরে। এটি খালি চোখে দেখা যাবে না; এটি দেখতে শক্তিশালী টেলিস্কোপ বা বাইনোকুলারের প্রয়োজন হবে।